Library and Laboratory
বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজ
রংপুর সেনানিবাস, রংপুর
লাইব্রেরী পরিচিতি
শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে মানুষের সব জ্ঞান জমা রয়েছে বইয়ের ভিতরে অন্তহীন জ্ঞানের উৎস হলো বই আর সেই বইয়ের আবাসস্হল হলো পাঠাগার। শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যায়নে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। বর্হিজগতের জ্ঞানভাণ্ডার থেকে জ্ঞান আহরণের ও চেষ্টা করতে হবে আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি সুন্দর গ্রন্হাগারের। গ্রন্হাগার একটি জাতির বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড। গ্রন্হাগার সবার জন্যই উম্মুক্ত। ধর্মীয় কোন সাম্প্রদায়িকতা নেই এখানে, এখানে প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বই পড়ার অনেক সুযোগ। একটি সমাজের রুপরেখা বদলে দিতে পারে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্হাগার। আমাদের এই গ্রন্থাগারে রয়েছে একাডেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের সব ধরনের বই। বই পড়লে একজন ছাত্র হয়ে ওঠে আচরণে মার্জিত, চিন্তায় স্বত:স্ফূর্ত ও কর্মদৃপ্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লাইব্রেরী প্রবন্ধে গ্রন্হাগার সম্পর্কে বলেছেন-“কত নদী সমুদ্র পর্বত উল্লঙ্ঘন করিয়া মানবের কণ্ঠ এখানে আসিয়া পৌছিয়েছে-কত শত বৎসরের প্রান্ত হইতে এই স্বর আসিতেছে। অর্থাৎ লাইব্রেরিতেই মানব হৃদয়ের উত্থান পতনের শব্দ শোনা যায়। এ জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লাইব্রেরিকে মহাসমুদ্রের কল্লোল ধ্বনির সাথে তুলনা করেছেন। ছাত্রদের রয়েছে সমাজের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি নানা দায়িত্ব। এ জন্য নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে তারা আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে পারে। নিজকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বই পড়া। বই পড়াই আনন্দের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
শিশুদের মনন বিকাশের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কার্টুনের বই ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত বিভিন্ন বই। শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন তথ্যের উৎসের বই। আমাদের এই গ্রন্থাগারে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা অসমাপ্ত আত্নজীবনী সহ সকল ধরনের কবিতা, গল্প ও উপন্যস ও রয়েছে বিভিন্ন মনীষীর জীবনী।যা পড়ে একজন শিক্ষার্থী মেধা বিকাশ লাভ করতে পারে।গ্রন্থাগারে এ বছর মুজিব শতবর্ষকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীকে সামনে রেখে বিভিন্ন বইয়ের সংগ্রহ বাড়ানো হয়েছে। গ্রন্থাগারে আরও রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স যা ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকেরা অবসর সময়ে পড়ে থাকেন।
পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব
আমাদের লক্ষ্য :
১। দৈনন্দিন জীবনে পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বকে উপলব্ধি করা ।
২। তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করা।
৩ । পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়গুলো বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহার
করে আরো নতুন নতুন চিন্তাধারা তৈরি করতে সক্ষম হওয়া।
৪। বিজ্ঞানের সাক্ষরতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা।
পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগার:
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। এ যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশ আজ সাফল্যের স্বর্ণ শিখর ছুয়েছে। বর্তমান যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়ন করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নয়নের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মানুষের সেবায় পদার্থবিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে এবং দৈনন্দিন জীবনে পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে অত্র প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগার।
বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এ্ন্ড কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি সমৃদ্ধ পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব। এই ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত ব্যবহারিক বিষয়সমূহ একজন দক্ষ প্রদর্শক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর তত্বাবধানে ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। এই ল্যাবে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের তত্বীয় বিষয়ে যা কিছু শেখে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপভিত্তিক এবং এককভাবে প্রতিটি বিষয় দক্ষতার সাথে প্রদর্শন করানো হয়। ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। ব্যবহারিক শুরুর পূর্বে প্রতিটি পরীক্ষণ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। এই ল্যাবে রয়েছে ল্যাব টেবিল যেখানে পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি সাজানো রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বসে পরীক্ষণ করার সু-ব্যবস্থা। ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত পরীক্ষণগুলো আলাদা করে বিন্যাস করা রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষণ শেষে ব্যবহারিক খাতা প্রস্তুত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।
রসায়ন ল্যাব
আমাদের লক্ষ্য :
১।দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের গুরুত্বকে উপলব্ধি করা ।
২ । তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করা।
৩ । রসায়নের বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়গুলো বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহার
করে আরো নতুন নতুন চিন্তাধারা তৈরি করতে সক্ষম হওয়া।
৪। বিজ্ঞানের সাক্ষরতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা।
রসায়ন গবেষণাগার:
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। এ যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশ আজ সাফল্যের স্বর্ণ শিখর ছুয়েছে। বর্তমান যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়ন করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নয়নের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মানুষের সেবায় রসায়নকে কাজে লাগাতে এবং দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে অত্র প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হয়েছে রসায়ন গবেষণাগার।
বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এ্ন্ড কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি সমৃদ্ধ রসায়ন ল্যাব। এই ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত ব্যবহারিক বিষয়সমূহ একজন দক্ষ প্রদর্শক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর তত্বাবধানে ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। এই ল্যাবে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের তত্বীয় বিষয়ে যা কিছু শেখে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপভিত্তিক এবং এককভাবে প্রতিটি বিষয় দক্ষতার সাথে প্রদর্শন করানো হয়। ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। ব্যবহারিক শুরুর পূর্বে প্রতিটি পরীক্ষণ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। এই ল্যাবে রয়েছে ল্যাব টেবিল যেখানে পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি সাজানো রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বসে পরীক্ষণ করার সু-ব্যবস্থা। ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত পরীক্ষণগুলো আলাদা করে বিন্যাস করা রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষণ শেষে ব্যবহারিক খাতা প্রস্তুত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।
জীববিজ্ঞান ল্যাব
জীব বিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে জীব ও জীবন সংক্রান্ত গবেষণা করা হয়। তাই, জীববিজ্ঞান সম্বন্ধে ভালোভাবে জানার জন্য একটি ভালো ল্যাবের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। আমাদের বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজের জীববিজ্ঞান ল্যাবরেটরীটি আধুনিক যন্ত্রপাতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি ল্যাবরেটরী। যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে হাতে কলমে শিক্ষা দান করা হয়।আমাদের কলেজেরে ল্যাবরেটরীতে বিশালাকার টেবিলে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থীদেরকে একসাথে সম্পূর্ণরূপে শিক্ষাদান করানো সম্ভব।পাশাপাশি জীববিজ্ঞান ল্যাবেরেটরী সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি (অনুবীক্ষন যন্ত্র, স্লাইড, প্রেট্রিডিস এবং একটি কাচের বাক্সে সংরক্ষিত মানব কঙ্কাল ইত্যাদি) রয়েছে। এমনটি আরও সব আধুনিক যন্ত্রপাতিতে স্বয়ংসম্পূণ আমাদের জীববিজ্ঞান ল্যাবরেটরীটি। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি একটি কোলাহল মুক্ত, নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত।কাজেই যে কোন কাজ অনেক প্রশান্তির মাধ্যমে সম্পূণ করা যায় । তাই শিক্ষার্থীদেরকে সঠিকভাবে হাতে কলমে শিক্ষাদানের জন্য আমাদের জীববিজ্ঞান ল্যাবরেটরীটি বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
কম্পিউটার ল্যাব
কম্পিউটার ল্যাবের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য –
১। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা।
২। তথ্যের অনায়াসলভ¦্যতা ও যোগাযোগকে সুগম করার ক্ষেত্রে তত্ত¡ীয়জ্ঞান অর্জন ও ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে নবদিগন্তের উম্মোচন ঘটানো।
৩। বিজ্ঞানের সাক্ষরতা আন্দোলনে গতি সঞ্চার।
৪। দৈনন্দিন কাজে,জাতীয় জীবনে ও আর্ন্তজাতিক প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম করে তোলা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপূর্ণ স্বপ্নের রূপদাত্রী,শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ। বর্তমান বিশ্বে উন্নত দেশ বলতে সেইসব দেশকে বোঝায়,যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কাঙ্খিত উন্নতি সাধিত হয়েছে। প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বিশ্বে,মাথা উঁচু করে নিজের আসন সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাবার কোনই বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জাতি ও আর্ন্তজাতিক প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম করে তোলার মানসে অত্র প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয়েছে একটি আধুনিক কম্পিউটার গবেষণাগার।
কম্পিউটার ল্যাবকে প্রতিষ্ঠানের একটি বড় অঙ্গ হিেেসবে বিবেচনা করা হয়। এটি সেই জায়গা, যেখানে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার ব্যবহারের নীতিগুলি এবং কম্পিউটারের ক্ষেত্রে কাজের সাথে সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপগুলো শেখানো হয়ে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির জন্য অন্যান্য বিষয়গুলিকে সমর্থন করে কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহৃত হয় । এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাদান করা হয়। কম্পিউটার ল্যাবগুলি বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ডিজাইন,প্রোগ্রাম,উপস্থাপনা, গবেষণা প্রতিবেদন এবং ক্রিয়াকলাপগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে। কম্পিউটার ল্যাবগুলো কর্মশালা চালাতে শিক্ষকদের সহায়তা করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষার জন্য কম্পিউটার ল্যাবটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মহান স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস ও অন্যান্য জাতীয় দিবসসমূহ এই প্রতিষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেযা কম্পিউটার ক্লাব পরিচালনা করে।